সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post
বৃষ্টির পানি ও মাছের অভাব 

পাঁচবিবিতে জমে ওঠেনি মাছ ধরার ফাঁদ ও যন্ত্রের বাজার 

জয়পুরহাট প্রতিনিধি 

পাঁচবিবিতে জমে ওঠেনি মাছ ধরার ফাঁদ ও যন্ত্রের বাজার 

চলতি ভরা বর্ষা মৌসুমে আষাঢ়ের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবির নদ-নদী, খাল বিলে আশানুরুপ পানি জমেনি। নেই কোন স্রোতধারাও। ফলে বাজারে মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ও যন্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ে নেই তেমন সাড়া। 

এছাড়া এসব মাছ ধরার যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহূত বাঁশ সুতাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে ক্রেতারা কিনছে সীমিত পরিমাণে। এতে করে হতাশায় পড়েছে বাজারে নিয়ে আসা এসব যন্ত্রের বিক্রেতারা। উপজেলার দমদমা গ্রামের খলসা ব্যবসায়ী সীতারাম দীর্ঘ ১৫বছর ধরে পাঁচবিবি বাজারে এই ব্যবসা করে আসছেন। 

তিনি বলেন, আগে বর্ষার শুরুতে আকাশের পানিতে নদ-নদী, খাল বিলে পানি থৈ থৈ করত। আর স্রোতের বিপরীতে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন প্রকার মাছ দেখা যেত। বাজারে দেশিয় তৈরি এসব যন্ত্র কেনার ধুম পড়ে যেত। 

তিনি আরো বলেন, আগে উপজেলার মহলীপাড়াগুলোতে স্থানীয়ভাবে এসব ফাঁদ ও যন্ত্র তৈরি হলেও বাঁশ, সুতাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়াই এগুলো আর তৈরি হয় না। এখন নীলফামারী ডোমার থেকে পাইকারী দরে কিনে এনে বিক্রি করে। লাভ সীমিত হলেও দীর্ঘ দিনের পেশা ছাড়তে পারেননি। 

বিক্রেতারা জানান, মাছ ধরার এসব দেশি যন্ত্রের এলাকা ভেদে বিভিন্ন নাম রয়েছে এবং খুচরা বিক্রিও আলাদা আলাদা। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি ভরং- ৩৫০টাকা, খলসা-৪০০টাকা, টেপা- ২৫০টাকা, পলই-১৫০টাকা, বৃত্তি- ১৭০টাকা, ক্যাসেট- ৮০টাকা, দিরু-২২০টাকা ও খলনী ১৫০টাকা দরে বিক্রি করছেন।

তবে বাজারে এসব মাছ ধরার যন্ত্রে চাহিদা কম হলেও আকাশের পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলেই এগুলো চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তারা।

টিএইচ